সঙ্গীত আলাপ , রাগাদির আলাপ,গান ও পদ্য | বেহালা-দর্পণ ও গণিত-সঙ্গীত

সঙ্গীত আলাপ , রাগাদির আলাপ,গান ও পদ্য – ” আলাপ ” শুদ্ধ স্বরানুপাতিক রাগ রাগিণীর যে অনপঙ্কত বিশুদ্ধ ভাব, তাহা আলোচনায় মানব- জগতের আশা নিবৃত্তি হয় না। এই জন্য, ঐ’সকল রাগ রাগিণীকে বিলম্বিত, মধ্য ও দ্রুতাদি লয় সহযোগে, গমক, সূচ্ছনা, তান, মান ও কর্তবাদি বিবিধ অলঙ্কারে ভূষিত করিয়া, গ্রামান্তর পরিভ্রমণ পূর্ব্বক মানবের শ্রবণ সম্মুখীন করিতে হয়; ইহার নাম আলাপ। 

সঙ্গীতশাস্ত্রকারগণ আলাপের আস্থায়ী, অন্তরা, সঞ্চারী ও আভোগ এই চারিটী পুদ স্থির করিয়াছেন। যে অংশ দ্বারা রাগ আরব্ধ হইয়া কতকাংশ মূর্ত্তি প্রকাশিত হয়, অথচ পূর্ণ হয় না, তাহার নাম আস্থায়ী। যে অংশ দ্বারা অবশিষ্ট ভাগ পূর্ণ হইয়া রাগটা সম্পূর্ণ আকার ধারণ করে, তাহাকে অন্তরা কহে। 

সঞ্চারী ও আভোগ, আস্থায়ী ও অন্তরার সামান্য প্রকার ভেদ মাত্র। আলাপ প্রথমত বিলম্বিত লয়ে আরম্ভ করিতে হয়। বিলম্বিত আলাপ গুনিতে অতি মধুর, কিন্তু বাজান একটু কঠিন’। যাহা হউক, ঐ বিলম্বিত লয়ে বিবিধ কৌশলে ও মুচ্ছ’নাদি বিবিধ অলঙ্কার যোগে স্বরদিগের অনুপাত ও বাদী সম্বাদী প্রভৃতি সুরের প্রাধান্য স্থির রাখিয়া, যেন সেই রাগের একটা ক্ষেত্র প্রস্তুত করিতে হয়। 

তৎপরে মধ্য ও দ্রুতাদি লয় সহযোগে রাগটাকে বিস্তৃতরূপে প্রকাশ করিতে পারিলেই আলাপের কার্য্য শেষ হইল। আলাপের সময় বাদী ও বিবাদী সুরের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখা আবশ্যক। বাদী সুরের স্থিরতায় মুর্ত্তি বর্তমান থাকে, আর বিবাদী স্থর সংযোগে তাহা ছিন্ন ভিন্ন হইয়া যায়। আলাপের বিশেষ কোন তাল দেখা যায় না। তবে, সুশিক্ষিত খ্যক্তি বণ্টন সময় আপন ইচ্ছামত তাল, লয় সঙ্গতে আলাপ করিয়া থাকেন।

সঙ্গীত আলাপ , রাগাদির আলাপ,গান ও পদ্য

সারং-ওড়ব জাতি-ল্প স্ব-বিবাদী।

রাগের অনলঙ্কৃত বিশুদ্ধ ভাব।

 

সঙ্গীত আলাপ

 

রাগের বিশুদ্ধ ভাবটা অবলম্বন করিয়া, অর্থাৎ স্বরদিগের আরোহণ ও অবরোহণের অনুপাত ও অবস্থিতি কালের প্রতি নির্ভর রাখিয়া রাগাদিকে বিবিধ ছন্দে বিস্তৃত করা যাইতে পারে। কোন অট্টালিকায় উঠিবার ও নামিবার জন্য যেন উভয়বিধ প্রকারে সোপানগুলি চিহ্নিত আছে। যেমন উঠিবার জন্য ১, ৩, ৫, ৬, ৭, ৮। নামিবার জন্য ৮, ৬, ৪, ৩, ২, ১।

এক্ষণে ঐ সোপানাবলম্বনে অট্টালিকায় একটীবার আরোহণ অবরোহণ কার্য্যে যদি কালবিলম্ব করিবার আবশ্যক হয়, তবে যথা চিহ্নিত সোপান ও তাহার অবস্থিতি কালটা স্মরণ রাখিয়া যে কোন স্থান হইতে কখন দুই ধাপ উপরে এক ধাপ নিয়ে, কখন তিন ধাপ উপরে দুই কিম্না এক ধাপ নিয়ে, এইরূপ বিবিধ ক্রীড়ায় সময় ক্ষেপ করিয়া রাগাদিকে বিস্তৃত করাই পদ্ধতি।

মাত্রা দীর্ঘ হইলে রাগ বিলম্বিত এবং হ্রস্ব হইলে দ্রুত হয়। কিন্তু, তাহাতে মূর্ত্তির কোন রূপ বৈলক্ষণ্য ঘটে না; যেমন টাকাকে আধুলি অথবা সিকির আকারে আনা হয় মাত্র; আকার ক্ষুদ্র হইলেও মুর্ত্তি কিম্বা ভাব ভঙ্গি আদি পূর্ব্বরূপই থাকে।

সারং আলাপ। 

আস্থায়ী।

 

সঙ্গীত আলাপ

সঙ্গীত আলাপ

 

বিস্তার বা বণ্টন।

 

সঙ্গীত আলাপ

 

মধ্যম ঠাটের পরিচয়।

নিম্নে বিভাষের আলাপ মধ্যম ঠাটে লিখিত হইল। মধ্যম ঠাট অর্থে, উদারার মধ্যম তারকে মুদ্রারার ষড়জ কল্পনা করিয়া লওয়া। মধ্যমকে শুর করিতে হইলে বেহালা অবশ্য একটু চড়া করিয়া বাঁধিতে হয়। নচেৎ, বড় জের ওজন মনুষ্য কণ্ঠের সাধারণ সুর D (ডি) স্থরের নিকটবর্তী হয় না। বিশেষত, একটু নরম শুর না লইলে আলাপের গাম্ভীৰ্য্য নষ্ট হয়।

পুনশ্চ উদারার মধ্যম তারকে মুদ্রারার সা করিয়া বাজাইলে তারা গ্রামের যথেষ্ট কার্য্য দেখাইতে পারা যায় এবং তাহা অতীব মিষ্ট হয়। এই জন্য যত্ন পূর্ব্বক ম হইতে অনুলোম গতিতে সপ্তকাদি সুরগুলি ঠিক করিয়া লওয়া কর্তব্য। নিয়ে তাহার একটী আদর্শ দিলাম।

যে যে আলাপের শিরোনামায় মধ্যম ঠাট বলিয়া লিখিত হইবে, তাহা উদারার মধ্যম এবং যাহাতে সাধারণ ঠাট বলিয়া লিখিত, তাহা মুদারার সুর তার আশ্রয়ে বাজাইবেন। ফলতঃ সমস্ত আলাপই ক্রমে মধ্যম ঠাটে অভ্যাস করা ভাল।

সাধারণ ঠাটের ম প ধ নি সা ঋ গ ম ধ ষ নি সা

মধ্যম ঠাটে সা ঋ গ ম প ধ নি সাঁ ঋ গ ম প

বিভাষ-খাড়ব জাতি।

 ম-বিবাদী। স্ব – বাদী। 

মধ্যম ঠাট। 

আস্থায়ী।

 

সঙ্গীত আলাপ

 

সঙ্গীত আলাপ

সঙ্গীত আলাপ

সঙ্গীত আলাপ

 

বিস্তার-তেহারা মাত্রা।

 আলাপের এক মাত্রা, তেহারার এক ঘরের সহিত সমান।

 

সঙ্গীত আলাপ

 

এই বিস্তারটা গতরূপে গ্রহণ করা যাইতে পারে। যেহেতু ইহাতে অঙ্গুলী সঞ্চালনের বিশেষ নৈপুণ্য সাধিত হইবে।

আলেয়া-সম্পূর্ণ।

মধ্যম ঠাট।

আস্থায়ী।

 

সঙ্গীত আলাপ

 

অন্তরা।

 

সঙ্গীত আলাপ

সঙ্গীত আলাপ

 

বিস্তার

 

সঙ্গীত আলাপ

সঙ্গীত আলাপ

 

এই বিস্তারটাও গতরূপে গ্রহণীয়। কেননা ইহাতে অঙ্গুলী-নিচয় দ্রুত সঞ্চালনেব সহিত চারিটা তারেই ভ্রমণ করিবে। সুতরাং ইহা কল্পতের একটী সামগ্রী। কিন্তু অঙ্গুলীব যেমন কলৎ ও কারদা, ছড়েরও সেইরূপ কায়দা আছে। ছড় গাছটা যদৃচ্ছাক্রমে টানিলে চলিবে না। 

আলাপ ও বিস্তারাদির স্বর ও চিহ্নগুলি দেখিয়া ঠিক পুস্তকানুযায়ী সংখ্যামত ছড়ের টান দিয়া বাজাইতে হইবে; এবং পুনঃ পুনঃ কহিতেছি, তারের উপর অঙ্গুলীগুলি ও ছড় গাছটা একটু চাপিয়া বাজাইবেন। আঙ্গুলপোষের উপর আঙ্গুলগুলি এরূপ জোরে চাপিবেন যেন কোন স্থানে ফাঁক না থাকে।

ছড়ের দীর্ঘ টানও অতি আবশ্যকীয়। এই সকল ক্রিয়া নির্ভুল ও সুন্দর হইলে, আপনার আলাপাদি যদি মিষ্ট না হয়, তাহা হইলে আমি তাহার দায়ী হইতে পারি; কিন্তু সুয়গুলি ঠিক হওয়াই যে আসল কাজ একথাটাও সর্বদা স্মরণ রাখিবেন।

ঝিঁঝিঁট-সম্পূর্ণ। ধ নি।

সাধারণ ঠাট।

রাগ বিশেষে কোমল কড়ী আদি যে যে শুব ব্যবহৃত হয়, শিরোনামায় তাহা লিখিত হইবে। গর্ভস্থ কোন সুরে তাহা প্রযুক্ত হইবে না। শিক্ষার্থীগণ বিশেষ সতর্ক হইয়া ঐ স্থরগুলির প্রতি সর্ব্বদা মন রাখিবেন। আর এই পঞ্চম জাতীয় রাগে ধৈবতকে যিনি ঠিক অনুকোমল করিয়া বাজাইতে না পারিবেন, তিনি যেন দেশাচার মতেব অনুসরণ করেন; কিন্তু গণিত সঙ্গীত খানি পাঠ করিয়া তাহার পর।

আস্থায়ী।

 

সঙ্গীত আলাপ

 

সরল অথবা মিশ্রপ্রভা অর্দ্ধ মাত্রার বাদিত হইলে তাহাকে জ্যোতি কহে। যেমন-

 

সঙ্গীত আলাপ

 

অর্থ মাত্রায়। সুতরাং শেষোক্ত অর্থ যাত্রাত্মগত ছন্দটীর নাম জ্যোতি। এই অলদার একটু স্বহু স্থলে বাঙ্গান রীতি।

 

সঙ্গীত আলাপ

 

 অন্তরা

 

সঙ্গীত আলাপ

 

বিস্তার

 

সঙ্গীত আলাপ

 

খাম্বাজ সম্পূর্ণ

সাধারণ ঠাট, বিলম্বিত মাত্রা।

 আস্থায়ী।

 

সঙ্গীত আলাপ

 

অন্তরা

 

সঙ্গীত আলাপ

সঙ্গীত আলাপ

 

ইহার মৃদ্ধ নাগত সুরগুলি বাজাইতে যদি সুবিধা না হয়, তাহা হইলে আসে বাজাইলেও চলিবে। তবে যে যে সুরের নীচে বিন্দু আছে সেইগুলি মাত্র বাদ দিতে হইবে।

বিস্তার।

 

সঙ্গীত আলাপ

সঙ্গীত আলাপ

 

বেহাগ-ওড়বজাতি।-

ঋ দ্ব-বিবাদী। গ-বাদী। .

সাধারণ ঠাট।

আস্থায়ী

 

সঙ্গীত আলাপ

 

অন্তরা

 

সঙ্গীত আলাপ

সঙ্গীত আলাপ

 

বিস্তার

 

সঙ্গীত আলাপ

 

সিন্ধু-সম্পূর্ণ। গ নি ঋ  ধ।

 সাধারণ ঠাট।

 আস্থায়ী।

 

সঙ্গীত আলাপ

সঙ্গীত আলাপ

 

অন্তরা

 

সঙ্গীত আলাপ

 

সিন্ধু রাগিনীতে গান্ধার, নিষাদ অতিকোমল, ও ঋষভ, ধৈবত অনুকোমল লিখিত হইয়াছে। যদিও ইহা দেশাচার হইতে একটু বিভিন্ন, কিন্তু বিজ্ঞান সম্মত। এই জন্য স্বপ্ন সুরজ্ঞানী মহোদয়গণের নিকট নিবেদন এই যে, তাঁহারা যেন ইহা একটু বিশেষ বিবেচনা করিয়া দেখেন, এই পুস্তকগত গণিত সঙ্গীতের ঋষভ গ্রামে ইহার পরিচয় পাইবেন।

 

সঙ্গীত আলাপ

 

বিস্তার-তেহারা মাত্রা।

 

সঙ্গীত আলাপ

সঙ্গীত আলাপ

 

ভৈরবী-সম্পূর্ণ। ঋ  গ ধ নি

 সাধারণ ঠাট। 

আস্থায়ী!

 

সঙ্গীত আলাপ

সঙ্গীত আলাপ

 

অন্তরা

 

সঙ্গীত আলাপ

সঙ্গীত আলাপ

 

বিস্তার

 

সঙ্গীত আলাপ

সঙ্গীত আলাপ

 

ভৈরবী রাগিণীটা অতি কোমলা ও করুণার মূর্তিমতী দেবী স্বরূপা। অত এব শিক্ষা কিম্বা সাধন সময় মাত্রা, সুর ও ছড়ের টান এই সকল বিষয়ে যেমন মনোযোগ করিবেন, নিয়মিত স্থরগুলি আবার ঠিক কোমল হইতেছে কি না, তাহাতেও সর্ব্বদা সতর্ক থাকিবেন।

তোড়ী-সম্পূর্ণ। ঋ ধ গ নি ম

সাধারণ ঠাট। 

আস্থায়ী।

 

সঙ্গীত আলাপ

 

অন্তরা

 

সঙ্গীত আলাপ

সঙ্গীত আলাপ

 

বিস্তার

 

সঙ্গীত আলাপ

বেহালা-দর্পণ বেহালা-দর্পণ বেহালা-দর্পণ বেহালা-দর্পণ

বেহালা-দর্পণ বেহালা-দর্পণ বেহালা-দর্পণ বেহালা-দর্পণ

বেহালা-দর্পণ

 

এই রাগ মুসলমান সংগীত কার সুলতান হোসেন কর্তৃক তোড়ী, গৌরী ও ভীম পলাসীর সার সংগ্রহে প্রস্তুত।

 

বেহালা-দর্পণ বেহালা-দর্পণ

ইমন কল্যাণ সম্পূর্ণ। ম |

সাধারণ ঠাট।

আস্থায়ী|

 

বেহালা-দর্পণ বেহালা-দর্পণ বেহালা-দর্পণ

 

দরবারী কানাড়া ।-সম্পূর্ণ। ঋ গ ধ ন

সাধারণ ঠাট।

আস্থায়ী।

 

বেহালা-দর্পণ

 

কথিত আছে এই রাগ মিয়া তানসেন কর্তৃক প্রস্তুত হইয়া আকবর বাদসাহের দরবারে গীত হয়। বাদসাহ তচ্ছু বণে অতীব পরিতুষ্ট হইয়া, তানসেনকে পঞ্চদশ লক্ষ টাকার মণীময় বাজু পারিতোষিক দিয়াছিলেন।

 

বেহালা-দর্পণ বেহালা-দর্পণ

 

গানঃ

 

গান অনেক আছে। কিন্তু সব গানই যে যন্ত্রে ভাল লাগে এমত নহে। উহার অধ্যে যে গান বেহালা যন্ত্রে মিষ্ট শুনায়, সেইরূপ তিনটা গান প্রদত্ত হইল।

রাগিণী-মিশ্রসারফৰ্দ্দা।

তাল-আড়খেমটা।

প্যারী } কার তরে আর গাঁথ, হার যতনে।

গলার, হার কিশোরী (আয়াধনের ধন ও তোর

চিন্তামণি) গলার হার কিশোরী, সেহার

হারালে হারালে শুননা শ্রবণে।

একজন অক্রুর মুনি ব’লে, সাধুর মূত্তি ধ’রে,

কংশের দূত এসেছে বৃন্দাবনে।

হ’রে লয়ে যায় ও তোর সর্ব্বস্ব ধন দস্যুবৃত্তি ক’রে,

আমরা দেখে এলেম রথে তুলেছে রতনে।

 

বেহালা-দর্পণ বেহালা-দর্পণ বেহালা-দর্পণ

 

 

রাগিণী-মিশ্রহাম্বির।

তাল-কওয়ালি মধ্যলয়।

দরশন বিনে মম প্রাণ যে যায়।

কোথা গেলে পাব তারে ব’লে দে আমার||

শুন গো সজনী, আগে ত নাহি জানি,

ভালবেসে অবশেষে কাঁদালে আমার।

এই গানটা, মধ্যম তারকে সুর করিয়া বাজাইলে উপরের গান্ধার ও মধ্যম স্থর বাজাইবার বিশেষ সুবিধা হয়।

 

বেহালা-দর্পণ বেহালা-দর্পণ

 

পদগুলি অগ্রে গাহিয়া পরে গান ধরিতেন। তাহা শুনিতে অতি মিষ্ট হইত। নিম্নে বদন অধিকারীর সেইরূপ একটা গান লিখিত হইল।

পদাবলী।

বৃখভানু নন্দিনী, রমণীর শিরোমণি, নব নব সঙ্গিনী সঙ্গে।

হায় গো নব নব সঙ্গিনী সঙ্গে।

তাহে, চলিল রাই বৃন্দাবনে,

শ্যামচাঁদ দরশনে, রসভরে ডগ মগ অঙ্গে।।

তায়, মুখ খানি পূর্ণিমার শশী, তাহে মৃদু মৃদু হাসি, শিরে শোভে চাঁচর কেশের বেণী।

হায় গো শিরে শোভে চাঁচর কেশের বেণী।

তাহে, বেণীর উপর সোণার ঝাঁপা, তার উপরে কনক চাঁপা, গোবিন্দের হৃদয় মোহিনী ॥

তায়, নীলমণিচূড়ী হাতে, সোণার কঙ্কন তাতে, কাল বসন রাধিকার গায়।

হায় গো কাল বসন রাধিকার গায়।

পায়, সোণার নূপুর পাটামল, তাহে করে ঝল মল, হংস গমনে চ’লে যায়।

 

গান।

রাগিণী-গৌড় সারং।

তাল-ঠুংরী।

 

বুখ ভানু রাজ নন্দিনী, সঙ্গে ল’য়ে সব গোপিনী,

যৌবন ভরে ঢ’লে পড়ে রাই, হংসগতি রাই গামিনী।

হেলিতে দুলিতে চলে তায় খসিয়ে পড়িছে বেণী।

ঝল মল কুণ্ডল, যিনি রুবি মণ্ডল, সিন্দুরে মণ্ডিত ভাল

আজ, সেজেছে রাই বিনো, আমাদের রাই সেজেছে আজ

 বিনোদিনী।-

পদাবলী।

তাল ঠুংরী।

বেহালা-দর্পণ বেহালা-দর্পণ বেহালা-দর্পণ বেহালা-দর্পণ

 

পদ্য।

পদ্যও এক জাতীয় গান। অনেক পদ্য সুরের সহিত পঠিত হয়, এবং এমন পদ্যও যথেষ্ট আছে যাহা মাত্রাহুগত করিয়া শুদ্ধু ছন্দোবন্ধে পাঠ করাই পদ্ধতি। সেইরূপ একটী পদ্য প্রস্তুত করিয়া নিম্নে প্রদত্ত হইল। উহার এক একটা পদ বার মাত্রায়, সুতরাং দ্রুত একতালার দুই পদে সম্পন্ন হইবে।

মৃতের বিলাপ

বেহালা-দর্পণ বেহালা-দর্পণ

আরও পড়ুনঃ

 

Leave a Comment