বাদন প্রণালী, আঙ্গুল-পোষস্থ ও সুর নিচয় এবং আঙ্গুল-পোষ ও স্বরস্থান চিত্র | বেহালা-দর্পণ ও গণিত-সঙ্গীত

বাদন প্রণালী,আঙ্গুল-পোষস্থ ও সুর নিচয় এবং আঙ্গুল-পোষ ও স্বরস্থান চিত্র – নিয়ে আজকের আলোচনা। যন্ত্রের শুরটা উত্তমরূপ ৰন্ধন পূর্ব্বক বেহালা ও ছড় গাছটা পূর্ব্ব কথিত রূপে ধারণ করিয়া বাজাইতে আরম্ভ করিবেন। বাজাইবার সময় তারের উপর অঙ্গুলিগুলি যেন একটু চাপিয়া দেওয়া হয়। কারণ আল্গা টিপে কখন গোল সুর বাহির হয় না।

বাদন প্রণালী,আঙ্গুল-পোষস্থ ও সুর নিচয় এবং আঙ্গুল-পোষ ও স্বরস্থান চিত্র

ছড় গাছটাও একটু চাপিয়া এবং চুলগুলি যাহাতে বিস্তৃত হইয়া তারের উপর পতিত হয় ও টানগুলি দীর্ঘ হয়, তাহা করিবেন। কেননা অগ্রে বড় অক্ষর না লিখিলে ছোট অক্ষর পাকা হয় না। ছড়ের টান, ক্ষেত্রের ঠিক মধ্যস্থলেই হইবে। বাজাইবেন, তখন যেন আর অন্য তারের সহিত ছড়ের সংস্পর্শ না হয়। যখন যে তারে তাহা হইলে সুর গুলি পরিষ্কার ও স্পষ্ট রূপে শোনা যাইবে। ছড়ের যে টানটী বাম হইতে দক্ষিণ দিকে আসে, তাহাকে আগত এবং যে টান দক্ষিণ হইতে বাম দিকে যায়, তাহাকে বিগত টান কহে। ‘ডা’ চিহ্নে আগত এবং ‘রা’ চিহ্নে বিগত বুঝিতে হইবে।

আর একটা বিষয়ে সতর্ক হওয়া বিশেষ কর্তব্য। বাজাইবার সময় গা দোলান কিম্বা কোন প্রকার মুখভঙ্গি আদি করা নিতান্ত দোষের কথা। উহাকে মুদ্রা-দোষ কহে। গায়ক ও বাদকদিগের পক্ষে উহা সামান্য দোষ নহে। উহাতে মুহূর্ত মধ্যে সঙ্গীতকারী- দিগের সমস্ত গুণই নষ্ট হইয়া যায়। অতএব সুস্থিরভাবে বসিয়া বাজান অভ্যাস করিবেন। দিন কতকের চেষ্টায় উহা চিরদিনের মত অভ্যস্ত হইবে।

 

বাদন প্রণালী

 

বাদন প্রণালী

 

আঙ্গুল পোষস্থ ও সুর নিচয়

আঙ্গুল পোষের উপর চক্রমধ্যস্থিত স্বরগুলির মধ্যে শুদ্ধ অতিউদারা গ্রামের নি কোমল নিষাদ ভিন্ন অপর সমস্ত স্বরই প্রকৃত সুর। উভয় প্রকৃত স্থরের মধ্যে কৃষ্ণ বর্ণ-বিন্দুগুলি চিত্রের নিম্ন অর্থাৎ চড়া সুরের কোমল শুর। চড়ী মধ্যমের এক নাম কোমল পঞ্চম। ১ম অঙ্গুলি তর্জনী, ২য় অঙ্গুলি মধ্যমা, ৩য় অঙ্গুলি অনামিকা এবং চতুর্থ অঙ্গুলি কনিষ্ঠ। স্থান বিশেষে সুরের নীচে ১, ২ ইত্যাদি চিহ্ন দিয়া অঙ্গুলি চতুষ্টয়ের বিশেষণ করা হইবে।

 

আঙ্গুল-পোষস্থ শুরনিচয়

 

আঙ্গুল পোষ ও স্বরস্থান চিত্র

 

আঙ্গুল-পোষ ও স্বরস্থান চিত্র

 

আরও পড়ুনঃ

Leave a Comment